২০১৮ সালের টপ ক্রুজার মোটরসাইকেল বাংলাদেশ



পুরো বিশ্বে  বাইক নিয়ে ঘোরাঘুরি ও ট্র্যাভেলিং এ যাওয়া আজকাল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আজকাল বাংলাদেশে মোটরসাইকেল ট্র্যাভেলিং প্রচুর আকারে বেড়ে গিয়েছে। তাই আজকাল আমাদের দেশের মানুষেরা তাদের ছুটিতে ভ্রমন ও লং ড্রাইভ এর জন্য ভাল মানের ও কমফোরটেবল মোটরসাইকেল খুজে থাকেন। এই জন্য আমরা ২০১৮ সালের কিছু ক্রুজার মোটরসাইকেল এর তালিকা তৈরী করেছি। তাই এখানে আমরা ২০১৮ সালের টপ ক্রুজার মোটরসাইকেল এর
বিষয়ে কিছু আলোচনা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
মোটরসাইকেল এর মাধ্যমে অনেক রকম কাজ করা যায় তাই এটাকে মাল্টি ইউটিলিটি ভেহিক্যাল ও বলা যায়। এটা যেমন কমিউটিং এর দিক দিয়ে সাহায্য করে তেমনি রাইড ও স্পোর্টস এর জন্য ও এটা ব্যবহার করা যায়। আমাদের দেশের বেশির ভাগ মোটরসাইকেল কোম্পানি রাইড ও স্ট্রিট স্পোর্টস এর উপর ফোকাস করে মোটরসাইকেল তৈরি ও আমদানী করে থাকে।
বর্তমানে খুব কম কোম্পানি আছে যারা ক্রুজার টাইপ এর মোটরসাইকেল বাংলাদেশে নিয়ে আসছে। তাই আমাদের দেশের রাস্তায় খুব কম পরিমান ক্রুজার মোটরসাইকেল দেখা যায়। এখানে আমরা বাজারে পাওয়া যায় এমন কিছু ক্রুজার মোটরসাইকেল এর তালিকা তুলে ধরলাম আপনাদের জন্য।

টপ ক্রুজার মোটরসাইকেল – বাজাজ এ্যাভেঞ্জার স্ট্রিট ১৫০

বাংলাদেশের টপ ক্রুজার মোটরসাইকেল এর তালিকায় আমরা সর্বপ্রথম আপনাদের জন্য তুলে ধরেছি যে নাম তা হল বাজাজ এ্যাভেঞ্জার স্ট্রিট ১৫০। এটা বাংলাদেশের খুব কম পরিমান ক্রুজার মোটরসাইকেল এর মধ্যে বেশ জনপ্রিয় মডেল। বাজাজ এর সফল মডেল বাজাজ এ্যাভেঞ্জার ২২০ স্ট্রিট ভার্শন থেকে এ্যাভেঞ্জার স্ট্রিট ১৫০ সিসি এসেছে।
এ্যাভেঞ্জার স্ট্রিট ১৫০ এর ইঞ্জিন বাজাজ পালসার ১৫০ এর মতই প্রায় একই রকম কিন্তু এর ইঞ্জিনের রেশিও একটু ভিন্ন। হাইওয়ে রাস্তার জন্য ইঞ্জিনটা খুব ভাল মানের। এছাড়াও চাকা স্টীল স্পোক রিম এর পরিবর্তে অ্যালয় রিম ও টিউবলেস টায়ারস দেওয়া হয়েছে।
মোটরসাইকেলটির লুকস ও ডিজাইন বেশ সুন্দর, আকর্ষনীয় ও স্টাইলিশ কিন্তু ক্ল্যাসিক থিমটাকে বাদ দেয়া হয়েছে। খুব ভাল বসার জায়গা সহ এর স্যাডেল ও বেশ কমফোরটেবল এবং হাইট ও কম। বড় হ্যান্ডেলবার ও ফুরেস্ট এর জন্য কন্ট্রোল ও অনেকক্ষন রাইড করার পর বেশ কমফোরটেবল বোধ করা যায়।

প ক্রুজার মোটরসাইকেল – কিওয়ে সুপারলাইট ১৫০

বাংলাদেশের টপ ক্রুজার মোটরসাইকেল এ আমরা দ্বিতীয় নাম তুলে ধরব আপনাদের কাছে তা হল কিওয়ে সুপারলাইট। কিওয়ে সুপারলাইট ১৫০ স্ট্রিট ক্রুজার যেটা কিওয়ে  বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে এবং কিওয়ের অফিশিয়ালি ডিস্ট্রিবিউট করেছে স্পিডোজ লিমিটেড। মোটরসাইকেলটি বেশ বড় এবং এর ভিড়ের মধ্যেও ডিজাইন এর উপর আকর্ষন জাগবে।
ক্রুজিং এর উপর ফোকাস করেই এর ডিজাইনটা করা হয়েছে। সাইজ, জায়গা এবং ফিচারস এর উপর নির্ভর করে বোঝা যায় যে এটা বেশ বড় মোটরসাইকেল। যদিও পুরাতন স্টাইল এর উচু হ্যান্ডেলবার, রাউন্ড পিট অডো, ফ্যাটার টায়ার, ওয়াইডার হুইল মাডগার্ড এবং ডাবল পাইপ সব মিলিয়ে কিওয়ে সুপারলাইট ১৫০ বাজারে একধরনের আলাদা পরিচয় বহন করে।
তাই যারা ক্রুজার এর বড় ফ্যান এবং যাদের হাইট ও ওয়েট একটু বেশি তাদের জন্য এই বড় সাইজের বাইকটা বেশ ভাল হবে। কিন্তু কম হাইট রাইডদের এই নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। এর স্যাডেল হাইট ও সহজে কন্ট্রোল করা যায় বলে কম হাইট রাইডারদের জন্য খুব আরামদায়ক এটা।

টপ ক্রুজার মোটরসাইকেল – হাওজু টিআর ১৫০

পাঠকেরা আমরা আপনাদের আগেই বলেছি যে আমাদের মার্কেটে খুব কম পরিমান ক্রুজার পাওয়া যায়। তাই আমরা বাজারে পাওয়া যায় এমন কিছু ক্রুজার মোটরসাইকেল এর মডেল আমাদের বাংলাদেশের টপ ক্রুজার এর তালিকা তুলে ধরেছি। হাওজু টিআর ১৫০ মোটরসাইকেলটির ডিস্ট্রিবিউটার হচ্ছে কর্ণফুলী ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশ।
হাওজু টিআর ১৫০ দেখতে বেশ সুন্দর ও ডিজাইন ও বেশ স্টাইলিশ  মর্ডান ক্রুজার এর মত লাগে। বাইকটির স্পোর্টি ডিজাইন এবং দেখতে বেশ ভিন্ন ও স্টাইলিশ বলে যারা ক্রুজার টাইপ মোটরসাইকেল এর ফ্যান না তারা এটার প্রতি আকর্ষিত হয়। ডিজাইন, কালার স্কিম এবং ইকোনমিক্স এর দিক দিয়ে হিসেব করলে হাইওয়ে ও রাস্তার ভিড়ে চালানোর জন্য বেশ সক্ষম।
তাই যারা ছুটিতে ও লং রাইড করতে ভালবাসে তাদের জন্য হাওজু টিআর ১৫০ ভাল একটা চয়েস। মোটরসাইকেলটি কর্ণফুলী এর মাধ্যমে এসেছে তাই সেলস সার্ভিস এবং মেইন্টেন্স খুব সহজ আমাদের দেশে।
অতএব পাঠকেরা এই ছিল টপ ক্রুজার মোটরসাইকেল এর বিষয়ে ছোট তালিকা। তাই আশা করি নতুন বছরে এগুলোর মধ্যে যে একটা আপনার সাথী হয়ে যেতে পারে। তাই নিরাপদে রাইড করুন, নিরাপদে থাকুন এবং আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ সবাইকে।

অকশনের বাইক কেনার কথা ভাবছেন?





কীভাবে নিলামে কেনা বাইক এর রেজিস্ট্রেশন করবেন তার বিস্তারিত নিয়ে আজকের আলোচনা।
একটা গল্প দিয়ে সুরু করা যাক
করিম সাহেব নিলামের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দর দাতা হিসেবে সরকারী কোষাগারে টাকা জমা প্রদান করে একটি বাজাজ পালচার ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল কিনলেন। মোটরসাইকেলটি করিম সাহেব কিছুদিন ব্যবহার করে করিম সাহেবের নিকট বিক্রয় করতে গেলে পড়েন বিপত্তিতে।
গাড়ীর রেজিস্ট্রেশনের কোন কাগজপত্র না থাকায় এ বিপত্তি ঘটে। করিম সাহেব নিলামের গাড়ী কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হয় সে প্রক্রিয়ার বিষয়ে অবগত ছিলেন না।
পাঠক, আপনি নিজেও এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই জেনে নিন নিলামে ক্রয়কৃত গাড়ির রেজিষ্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সমূহ।
প্রথমেই জেনে নেই নিলামের প্রকারভেদঃ
১) স্থলবন্দর বা সমুদ্রবন্দর বা নদীবন্দরে বন্দর কতৃপক্ষের করা নিলামঃ
সাধারনত বন্দরে আমদানীকৃত মটরসাইকেল/গাড়ি শুল্ক সংক্রান্ত ঝামেলার ব্যাপারে আটকা পড়লে বন্দরের কতৃপক্ষ এইসব গাড়ি নিস্পত্তির জন্য নিলামে তুলেন । এইসব গাড়ি কিনলে যেহেতেু আমি নিজেই প্রথম মালিক হচ্ছেন তাই বিআরটিএ তে এগুলো রেজিস্ট্রেশন করা যাবে ।
২) আদালত এর আদেশ বাস্তবায়নের জন্য যে থানায়/আদালত প্রাঙ্গনে যে নিলামঃ
এইসব নিলামে বিভিন্ন মামলায় আটক গাড়ি (যেমন চোরাই/মাদক পাচারের কাজে ব্যবহৃত ইত্যাদি)আদালতের আদেশে বিক্রি হয় । এইসব নিলামে ক্রয়কৃত গাড়ির যেহেতু আপনি প্রথম মালিক নন তাই বি আর টি এ থেকে এই সব গাড়ি রেজিস্ট্রেশন করা হয় না ।তবে আদালত যদি আপনার নামে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য বিআরটিএ কে আদেশ প্রদান করে তবে আপনি রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন ।
এখানে উল্লেখ্য যে, যেসব নিলামের গাড়ির রেজিস্ট্রেশন হয় না তারা নিলামের কাগজপত্র সাথে নিয়ে গাড়ি চালাতে পারবেন ।
নিলাম (অকশন) এ কেনা বাইক রেজিস্ট্রেশনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
যে কোন অকশন (থানা, কাস্টমস)
১। পেপার কাটিং (Paper Cutting)
২। সি.এস. কপি/ তুলনামূলক বিবরণী (C.S. Copy)
৩। সর্বোচ্চ দরপত্র গ্রহণ
৪। বিক্রয় আদেশ।
৫। বিআরটিএ মোটরযান পরিদর্শক কর্তৃক সিসি নির্ধারণ।
৬। টাকা জমার রশিদ সমূহ।
৭। কাস্টমস অফিসারের মন্তব্য।
৮। কাস্টমস অফিসারের ছাড়পত্র।
৯। কাস্টমস ডেলিভারী অর্ডার।
১০। কাস্টমস ডেলিভারী মেমো।
১১। কাস্টমস ডেলিভারী ইনভয়েস।
১২। নিলাম ক্রেতার অঙ্গিকারনামা।
১৩। বিক্রেতার ১৫০ টাকার এফিডেভিট।
১৪। ক্রেতার ১৫০ টাকার এফিডেভিট।
১৬। টি.ও , টি.টি.ও , বিক্রয় রশিদ।
১৭। ক্রেতার টি.আই.এন. সার্টিফিকেট।
১৮। মোটরযান পরিদর্শক কর্তৃক গাড়িটি সরেজমিনে পরিদর্শন।
১৯। এইচ ফরম পূরণ।
২০। পরিচালক(ইঞ্জিঃ) বিআরটিএ এর অনুমোদন।
২১। টাকা জমার রশিদ সমূহ।
এরপর রেজিস্ট্রেশন করার প্রক্রিয়া সাধারণ বাইক রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার মতই।

জেনে রাখুন ট্রাফিক আইনে কোন অপরাধে কত জরিমানা

জেনে রাখুন ট্রাফিক আইনে কোন অপরাধে কত জরিমানা

ডিএমপি নিউজঃ ‘ট্রাফিক আইন মেনে চলুন’- এ কথা কয়টি আমাদের দেশে বিভিন্ন জায়গায় বহুল ব্যবহৃত এবং আমাদের কাছে বহুল শ্রুত। সারাদেশে যেভাবে মোটরগাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সড়ক দূর্ঘটনা। মোটরগাড়ি চালানোর আইন-কানুন না জানা কিংবা আইন-কানুনকে তোয়াক্কা না করার প্রবণতাই এসব দূর্ঘটনার মূল কারণ। পৃথিবীর অন্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও রয়েছে মোটরগাড়ির জন্য প্রযোজ্য বিশেষ আইন। যা অমান্য করলে আপনার বিরুদ্ধে জরিমানা কিংবা মামলা হতে পারে। অতএব রাস্তায় গাড়ি নিয়ে নামার আগে জানতে হবে এর সাথে সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি সমূহ।
সেটি জানাতে ১৯৮৩ সালের ‘মোটরযান আইন’ অনুযায়ী কোন অপরাধে কি শাস্তির বিধান আছে তা সংক্ষেপে পাঠকদের কাছে তুলে ধরছে ডিএমপি।
 ১) নিষিদ্ধ হর্ণ/হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহারঃ জরিমানা ১০০ টাকা (ধারাঃ ১৩৯)
২) আদেশ অমান্য বাধা সৃষ্টি ও তথ্য প্রদানে অস্বীকৃতিঃ জরিমানা ৪০০ টাকা {ধারা ১৪০(১)}
৩) ওয়ানওয়ে সড়কে বিপরীত দিকে গাড়ি চালানোঃ জরিমানা ২০০ টাকা {ধারাঃ ১৪০(২)}
৪) অতিরিক্ত গতি বা নির্ধারিত গতির চেয়ে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোঃ জরিমানা ৩০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলেঃ জরিমানা ৫০০ টাকা (ধারাঃ ১৪২)
৫) দূর্ঘটনা সংক্রান্ত যে সকল অপরাধ থানায় ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাইঃ জরিমানা ৫০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলেঃ জরিমানা ১০০০ টাকা (ধারাঃ ১৪৬)
৬) নিরাপত্তা বিহীন অবস্থায় গাড়ি চালানোঃ জরিমানা ২৫০ থেকে ১০০০ টাকা (ধারাঃ ১৪৯)
৭) কালো বা অতিরিক্ত ধোঁয়া বের হওয়া মোটরযান ব্যবহারঃ জরিমানা ২০০ টাকা (ধারাঃ ১৫০)
৮) মোটরযান আইনের সাথে সঙ্গতিবিহীন অবস্থায় গাড়ি বিক্রয় বা ব্যবহার, গাড়ির পরিবর্তন সাধনঃ জরিমানা ২০০০ টাকা (ধারাঃ ১৫১)
৯) রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট বা ফিটনেস সার্টিফিকেট অথবা রুট পারমিট ব্যতীত মোটরযান ব্যবহারঃ জরিমানা ১৫০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলেঃ জরিমানা ২৫০০ (ধারাঃ ১৫২)
১০) অনুমোদন বিহীন এজেন্ট বা ক্যানভাসার নিয়োগঃ জরিমানা ৫০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলেঃ জরিমানা ১০০০ টাকা (ধারাঃ ১৫৩)
১১) অতিরিক্ত মাল বা অনুমোদিত ওজন অতিক্রম পূর্বক গাড়ি চালনাঃ জরিমানা ১০০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলেঃ জরিমানা ২০০০ টাকা (ধারাঃ ১৫৪)
১২) বীমা ব্যতীত গাড়ি চালানোঃ জরিমানা ৭৫০ টাকা (ধারাঃ ১৫৫)
১৩) অনুমতি ব্যতীত গাড়ি চালানোঃ জরিমানা ৭৫০ টাকা (ধারাঃ ১৫৬)
১৪) প্রকাশ্য সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিঃ জরিমানা ৫০০ টাকা (ধারাঃ ১৫৭)
১৫) গাড়ীর ব্রেক কিংবা কোন যন্ত্র অথবা গাড়ির বডি কিংবা স্পিড গর্ভণর সীল বা ট্যাক্সি মিটারের উপর অন্যায় হস্তক্ষেপ করাঃ জরিমানা ৫০০ টাকা (ধারাঃ ১৫৮)
১৬) যে সকল অপরাধের জন্য মোটরযান আইনে সুনির্দিষ্ট কোন শাস্তির ব্যবস্থা নেইঃ জরিমানা ২০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলেঃ জরিমানা ৪০০ টাকা (ধারাঃ ১৩৭)।
ট্রাফিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করুন।

জেনে রাখুন ট্রাফিক আইনে কোন অপরাধে কত জরিমানা

মোটরযান আইনের ধারা
‘ট্রাফিক আইন মেনে চলুন’- এ কথা কয়টি আমাদের দেশে বিভিন্ন জায়গায় বহুল ব্যবহৃত এবং আমাদের কাছে বহুল শ্রুত। সারাদেশে যেভাবে মোটরগাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সড়ক দূর্ঘটনা। মোটরগাড়ি চালানোর আইন-কানুন না জানা কিংবা আইন-কানুনকে তোয়াক্কা না করার প্রবণতাই এসব দূর্ঘটনার মূল কারণ। পৃথিবীর অন্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও রয়েছে মোটরগাড়ির জন্য প্রযোজ্য বিশেষ আইন। যা অমান্য করলে আপনার বিরুদ্ধে জরিমানা কিংবা মামলা হতে পারে। অতএব রাস্তায় গাড়ি নিয়ে নামার আগে জানতে হবে এর সাথে সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি সমূহ।

ধারা : ১৩৮। লাইসেন্স ব্যতীত মোটরযান চালাইলে সর্বোচ্চ চার মাসের কারাদণ্ড অথবা পাঁচশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়বিধ শাস্তি পাইতে হইবে।
ধারা : ১৩৯। নিষিদ্ধ হর্ণ কিংবা শব্দ উৎপাদনকারী যন্ত্র লাগান ও ব্যবহারঃ
# যদি মোটরযানে এমন ধরণের হর্ণ বা শব্দ উৎপাদনকারী যন্ত্র সংযোজন বা ব্যবহার করে যাহা সংশ্লিষ্ট এলাকায় যথাযোগ্য কর্তৃপক্ষ আইন অথবা তদধীনে প্রণীত কোন বিধি বা প্রবিধান মোতাবেক নিষিদ্ধ করিয়াছেন তাহা হইলে নির্দিষ্ট সর্বোচ্চ একশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা হইবে।
(ইদানিং এই কারণে মামলা বেশি হচ্ছে। অনেকেই বেআইনী হুটার লাগাচ্ছেন গাড়িতে)
ধারা : ১৪১। লাইসেন্স সংক্রান্ত অপরাধসমূহঃ
(৩) যেকোন সময় মোটরযান চালনাকালে এই আইন অনুযায়ী কর্মরত যেকোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক চাহিবামাত্র বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদর্শন করিতে ব্যর্থ হইলে দণ্ডস্বরূপ পঞ্চাশ টাকা জরিমানা করা হইবে।
ধারা : ১৪২। নির্ধারিত গতির চেয়ে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাইলেঃ
# প্রথমবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ এক মাস কারাদণ্ড কিংবা সর্বাধিক তিনশত টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং
# তৎপরবর্তী অনুরূপ অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড কিংবা সর্বাধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং তাহার ড্রাইভিং লাইসেন্স অনধিক এক মাস মেয়াদের জন্য সাসপেণ্ড করা হইবে।
ধারা : ১৪৩। বেপরোয়াভাবে কিংবা বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালনাঃ
# প্রথমবার এই অপরাধ করিলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড কিংবা পাঁচশত টাকা জরিমানা হইবে এবং তাহার ড্রাইভিং লাইসেন্স একটা নির্ধারিত মেয়াদের জন্য সাসপেন্ড থাকিবে।
ধারা : ১৪৪। মদ্যপান কিংবা মাদক দ্রব্য সেবনের পর মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানোঃ
# তিনি গাড়ির উপর যথাযথ নিয়ন্ত্রণ কার্যকর করিতে অক্ষম, এমতাবস্থায় যদি তিনি গাড়ি চালান কিংবা চালানোর চেষ্টা করেন, তবে অনুরূপ অপরাধ প্রথমবার সংঘটনের জন্য সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড কিংবা সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয়বিধ শাস্তি হইবে।
ধারা : ১৪৫। শারীরিক কিংবা দৈহিকভাবে অনুপযুক্ত অবস্থায় গাড়ি চালনাঃ
# প্রথমবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ শত টাকা জরিমানা হইবে এবং তাহার ড্রাইভিং লাইসেন্স নিদিষ্ট মেয়াদে বাতিল করা হইবে।
ধারা : ১৪৭। কতিপয় অপরাধ করিতে সহায়তার জন্য শাস্তিঃ
>> কোন ব্যক্তি ১৪৩ কিংবা ১৪৫ ধারা অনুযায়ী কোন একটি অপরাধ সংঘটনের সহায়তা করিলে তিনি সেই অপরাধের জন্য নির্ধারিত শাস্তি পাওয়ার যোগ্য হইবেন।
ধারা : ১৪৮। মোটরগাড়ির দৌড়বাজি কিংবা গতি পরীক্ষাঃ
# সর্বোচ্চ এক মাস কারাদণ্ড অথবা পাঁচশত টাকা জরিমানা কিংবা উভয়বিধ শাস্তি পাইবার যোগ্য হইবেন এবং তাহার ড্রাইভিং লাইসেন্স সর্বোচ্চ এক বৎসরের জন্য সাসপেন্ড করা যাইতে পারে।
ধারা : ১৪৯। নিরাপত্তাবিহীন অবস্থায় গাড়ি ব্যবহারঃ
# সর্বোচ্চ এক মাস কারাদণ্ড কিংবা সর্বাধিক দুইশত পঞ্চাশ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডণীয় হইবেন। সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড কিংবা সর্বাধিক এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ড হইবে।
ধারা : ১৫০। ধোঁয়া বাহির হওয়া মোটরযান ব্যবহারঃ
# এমনভাবে ধোঁয়া বাহির হয় যাহার ফলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হইতে পারে, অনুরূপ মোটরগাড়ি কেহ প্রকাশ্য স্থানে চালাইলে, সর্বোচ্চ দুইশত টাকা জরিমানা হইবে।
ধারা : ১৫১। এই অধ্যাদেশের সাথে সঙ্গতিবিহীন অবস্থায় গাড়ি বিক্রয় অথবা গাড়ির পরিবর্তন সাধনঃ
# সর্বোচ্চ দুই বৎসর মেয়াদী কারাদণ্ড কিংবা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়বিধ দণ্ড দেওয়া হইতে পারে।
ধারা : ১৫৪। অননুমোদিত ওজন অতিক্রমপূর্বক গাড়ি চালনাঃ
# কোন ব্যক্তি ৮৬ অথবা ৮৮ ধারার অধীনে আরোপিত কোন নিষেধাজ্ঞা লংঘন করে গাড়ি চালাইলে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা জরিমানা।
ধারা : ১৫৬। অনুমতি ব্যতীত গাড়ি চালনাঃ
# কোন ব্যক্তি কোন মোটরযানের কিংবা অন্য কোন আইনানুগ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত সংশ্লিষ্ট মোটরগাড়ি চালাইয়া বাহিরে লইয়া গেলে সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড অথবা সর্বাধিক দুই হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়বিধ শাস্তি পাইবার যোগ্য হইবেন।
ধারা : ১৫৭। প্রকাশ্য সড়কে অথবা প্রকাশ্য স্থানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিঃ
# সর্বোচ্চ পাঁচশত টাকা জরিমানা হইবে এবং অনুরূপ মোটরযান কিংবা খুচরা যন্ত্র বা জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হইতে পারে।
ধারা : ১৬০। ওয়ারেন্ট ব্যতীত গ্রেফতারের ক্ষমতাঃ
# এক ইউনিফরমধারী পুলিশ অফিসারের সামনে কেহ ৩২, ৫১, ১৪৩, ১৪৪, ১৪৫, ১৪৬, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৫৪ কিংবা ১৫৬ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধ করিলে তিনি উক্ত অপরাধীকে ওয়ারেন্ট ব্যতীতই গ্রেফতার করিতে পারেন।
কালেক্টঃ কোটচাঁদপুর মডেল থানা।
বিপ্লব কুমার সাহা ( অফিসার ইন-চার্জ )

বাংলাদেশে মোটরসাইকেল কেনার সময় যে ১০ টি বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে



বাংলাদেশে মোটরসাইকেল কেনার সময় যে ১০ টি বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে

বাংলাদেশের প্রত্যেক তরুণই ইচ্ছা,পরিবেশ,জনসংখ্যা,ট্রাফিক জ্যাম,রাস্তার অবস্থা এবং স্বল্প রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ইত্যাদি বিবেচনা করে  একটি মোটরসাইকেল কেনার স্বপ্ন দেখে । বর্তমান সময়ে বাইক নিয়ে আগ্রহের মূল কারণ হল ট্রাফিক জ্যাম ও গাড়ির উচ্চমূল্য ।
একজন তরুণের কাছে বাইক হল তার ভালবাসা এবং কারো  কাছে এটা তার সম্পদ । ভালবাসা কিংবা প্রয়োজন যাই হোক অধিকাংশ বাইকের মালিক তাদের বাইক কেনে ১ থেকে ১০ বছর বা তারও বেশী সময়ের জন্য। তাই বাইক কেনার পূর্বে যথাযথ পরিকল্পনা আপনাকে দেবে সঠিক বাইক এবং আপনার  স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার অনুভূতি ।
মোটরসাইকেল কেনার পূর্বে আপনি এই প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো অনুসরন করতে পারেনঃ

 ১.বাজেট প্রস্তুতিঃ

যে বাইক আপনি কিনতে পারবেন না, সে বাইকের স্বপ্ন  দেখবেন না । একটি বাজেট করুন।আমার পরামর্শ হল সবসময় ৫০০০ টাকা অতিরিক্ত রাখবেন । ধরা যাক আপনি ২০০,০০০ টাকা দিয়ে একটি বাইক কিনবেন । তাহলে বাজেট করুন ২০৫০০০ টাকা ,কারণ ২০০,০০০ টাকা দিয়ে বাইক কেনার পর আপনাকে থেফট অ্যালার্ম সিস্টেম,কসমেটিকস কেয়ার আইটেম ,কভার,রেইন ক্লথ, হেলমেট ইত্যাদি কিনতে হবে ।

২.আপনার বাজেটের মধ্যে কেনা যাবে এমন বাইকের সংক্ষিপ্ত তালিকা করুনঃ

আপনার বাজেটের সাথে মিলিয়ে বাংলাদেশে পাওয়া যাবে এমন বাইকের সংক্ষিপ্ত তালিকা করুন । যদি এ তালিকা লম্বা হয় তাহলে আপনার পছন্দ অনুযায়ী ছোট করুন ।একটি বাইকের সুন্দর লুক দেখেই পছন্দ করবেন না ।

 ৩.বাইক আছে এমন কারো পরামর্শ নিনঃ

চারদিকে তাকান , আপনার বন্ধু, আত্মীয়,প্রতিবেশী যে কারো একটি বাইক থাকতে পারে । একজন বাইকের মালিক সবসময় আপনাকে বাইক সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতাই জানাবে । আপানার কাঙ্খিত বাইক সম্পর্কে তাদের কাছ থেকে জিজ্ঞেস করুন । যদি কেউ এমন কোন বাইকের মালিক হয় যেটা আপনার সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিল তাহলে তার কাছে যান এবং ভ্রমণের অভিজ্ঞতা, খুচরা যন্ত্রাংশের দাম, সার্ভিস এসব নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করুন।

৪.পছন্দের বাইকটি একবার পরীক্ষামূলকভাবে চালানঃ

যদি বাংলাদেশে কেনার পূর্বে একটি মোটরসাইকেল  পরীক্ষামূলকভাবে চালাতে চান তাহলে আপনি শোরুম হতে সে সুযোগ পাবেন না । বাংলাদেশের শোরুমগুলোতে “ টেস্ট ড্রাইভ ” সুবিধাটি নেই । আপনি আপনার বন্ধু ও আত্মীয়দের কাছে যান যাদের কাছে আপনার পছন্দের বাইকটি আছে । একটি          “টেস্ট ড্রাইভ”  আপনাকে বাইক চালানোর সঠিক অনুভূতি দেবে এবং এটি আপনাকে পছন্দের বাইকের তালিকা ছোট করতেও সাহায্য করবে । একটি ব্যাপার মনে রাখবেন, একটি ভ্রমণ আপনার সিদ্ধান্ত বদলে দিতে পারে ।

৫.আমি কি মাইলেজের ক্ষেত্রে ছাড় দিব ?

এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করবে বাইকের ব্যবহার এবং ব্যবহারকারীর বয়সের উপর । আপনি যদি সৌখিন চালক হন তাহলে মাইলেজের ব্যাপারে ভাববেন না । যদি আপনি মধ্যবয়সী হন এবং আপনার উদ্দেশ্য যদি হয় অফিস থেকে আসা-যাওয়া বা শহরের বাইরে যাওয়া তাহলে মাইলেজ একটি বড়  বিষয় । সাধারনত ৫০-১৩৫ সিসির বাইকগুলো তাদের মাইলেজ এবং দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাবহারের জন্য জনপ্রিয় । অফিসগামী লোকজন এ ধরনের বাইক ব্যাবহার করে থাকেন।

৬.সর্বাধিক বিক্রিত মোটরসাইকেলটি পছন্দ করুনঃ

নিজে নিজে ভাবুন যে আপনি একটি মোটরসাইকেল কোম্পানির মালিক এবং পণ্যের বেশী বিক্রির কারণে আপনার প্রচুর লাভ হচ্ছে, তাই আপনার মোটরসাইকেলের কোয়ালিটি ও নতুন প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট টাকা রয়েছে । তাই এই প্যারার মূল বিষয় হল সর্বাধিক বিক্রিত বাইকটি নেয়া । কারণ অধিকাংশ ব্যাবহারকারী যারা তাদের বাইক নিয়ে সন্তুষ্ট তারা কখনো বোকা হতে পারেন না । ২০১১ সালে বাজাজ  পালসার ১৫০সিসি ছিল বাংলাদেশের সর্বাধিক বিক্রিত মোটরসাইকেল ।

 ৭.সার্ভিস সেন্টারের অবস্থানঃ

এমন বাইক পছন্দ করুন যেটার  সার্ভিস সেন্টার আপনার বাড়ির কাছে । একটি বাইক এখন ভাল, কিন্তু কখন এটা সমস্যা করবে তা আপনি বলতে পারেন না ।ধরা যাক আপনি থাকেন দিনাজপুরে কিন্তু আপনার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল কোম্পানির সার্ভিস ষ্টেশন গাজীপুর যেটা  প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে । এটাকেই বলে প্রকৃত ঝামেলাকর অবস্থা ।

৮.খুচরা যন্ত্রাংশের প্রাপ্যতাঃ

আমার এক বন্ধু হোন্ডা সিবি৬৫০(CB 650) মোটরসাইকেল কিনেছিল । কিন্তু ইঞ্জিনের একটি সাধারন যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার পর একটি চমৎকার বাইক হতে এটি একটি জঞ্জালে পরিনত হয়। এই বাইকের কোন যন্ত্রাংশ বাংলাদেশে নেই । তাই সতর্কতার সাথে বাইক পছন্দ করবেন যেটার খুচরা যন্ত্রাংশের দোকান রয়েছে এবং সাথে সাথে কেনার ক্ষেত্রেও ছাড় দেবে।

৯.শরীরের সাথে বাইকের অবস্থানঃ

ধরুন আপনি ৬ ফুট লম্বা এবং চালাচ্ছেন একটি ছোট বাইক যেমন হোন্ডা ৫০সিসি । যেটা দেখতে হাতির ইঁদুরের উপর চড়ার মত। তাই যে বাইকটি আপনার উচ্চতার সাথে মানানসই,যেটা আপনাকে ভ্রমণের সময় সুন্দর লুক দেবে সেটি পছন্দ করুন ।

১০.আপনার পছন্দ অনুযায়ী নিনঃ

সবসময় শুনুন আপনার “হৃদয়” কি বলে………হা…হা…হা… হ্যাঁ এটা সত্যি । শুধুমাত্র বাজেটের কথা চিন্তা করে বাইক কিনবেন না । পাশাপাশি আমার পরামর্শ হল কিছু সময় অপেক্ষা করুন এবং আপনার পছন্দের বাইকের জন্য টাকা জমান । যদি শুধুমাত্র বাজেটের কথা চিন্তা করে বাইক কেনেন তাহলে এটা কখনো আপনাকে সন্তুষ্ট করতে পারবে না । কিছুদিন পর অবশ্যই আপনি বাইকটি বিক্রি করে দিবেন এবং পছন্দের বাইকটি কিনতে যাবেন। মাঝখান দিয়ে আপনি একটি বড় অঙ্কের টাকা হারাবেন। তাই আপনার পছন্দ অনুযায়ী বাইক কিনুন।
এগুলো বাংলাদেশে মোটরসাইকেল কেনার ক্ষেত্রে অবশ্য পালনীয় নির্দেশনা যা আপনাকে আপনার স্বপ্নের বাইক পেতে সাহায্য করবে । উপরের সবগুলোর মধ্যে আমি জোর দিয়ে বলব “আপনার পছন্দ অনুযায়ী নিন……………।”   নিরাপদ থাকুন এবং ঠাণ্ডা মাথায় বাইক চালান ।

Top 5 Tyre Brand In Bangladesh

Top 5 Tyre Brand In Bangladesh

Sheikh Thamid Islam                 March 29, 2018
Motorcycle tires are not only just simple black rubber hoops that keep your wheels look awesome but also grinding against the trail or road surface. Tires are the soul of the bike. Maximum care should always be taken whenever one is shopping for a tyre. Today we are going to know about Top 5 tyre Brand In Bangladesh which are widely used in our country. Let’s go for it.

Top 5 Tyre Brand In Bangladesh – MRF Tyres
One of the most popular brands for tyre is MRF Tyres. Madras Rubber Foundation or MRF is an Indian company that has become very popular in global market place. Internationally, the MRF tyres are the most trusted among other companies due to the combination of comfort, and its extreme toughness.

It takes huge number of engineers and scientist for testing and manufacturing procedure. Its high tech cutting – edge technologies, advanced materials makes it more perfect. MRF is an award winner tyre brand and the reason behind this its supreme quality.
Top 5 Tyre Brand In Bangladesh – Michelin
Michelin is the second largest tyre manufacturer in the world. It’s a French-based tyre manufacturing company which is founded in 1888 by the Michelin brothers. The company is dedicated to enhancing its clients’ mobility, sustainably also designing and distributing the most suitable tyres.

They provide services and solutions according to their clients’ needs. The company also manufactures tyres for heavy vehicles like airplanes; space shuttles as well as aircrafts etc. the production of exceptional quality of tyres which made it possible for to stand the test of times, with formidable existence for about 130 years.
Top 5 Tyre Brand In Bangladesh – CEAT
CEAT (Cavi Elettrici e Affini Torino) ltd is one of India’s leading tyre manufacturers and has its enormous presence in global markets. CEAT marks the highest exports in different categories of tyers to India as well as over 110 countries across the world.

This leading corporation manufactures more than 95,000 tyres on a daily basis, which are known for their superior grip on any road condition. CEAT tyres known for their finest design, durability, smooth ride and secure and safe grip on roads.
Top 5 Tyre Brand In Bangladesh – Pirelli
Pirelli is the fifth biggest tyre producer company on the planet. It’s an Italian company situated in Milan but also has its manufacturing branches in Rome and Georgia USA. Pirelli is a major player in the tyre industry and the only global player focused solely on the Consumer tyre market, which includes tyres for cars, motorcycles and bicycles.

Superior vehicles, for example, Aston Martin, Ferrari and Lamborghini keep running on Pirelli. Pirelli products are designed to fit an array of light trucks as well. The main selling factor of Pirelli is its advance technologies when it comes to handling wet and dry grips. It’s one of the best Italian brands in terms of creativity, excellence, and innovation.
Top 5 Tyre Brand In Bangladesh – Gazi Tyre
Last but not the least, Gazi tyre is one of the most renowned and popular brand when it’s come to tyre industry of Bangladesh. Gazi tyre, a concern of Gazi Group, is the first to make large tyres for the rapidly growing transport sector in Bangladesh.

Gazi tyre is known for the quality tyre production. In addition, its products are relatively more affordable as compared to other brands. As far as price to good quality ratio is concerned, Gazi tyre scoops the top position in the country.
So this all about the motorcycle tyre brands of bangladesh. If you have any ideas than share with us in comment. Thank You All.

Suzuki Hayabusa at Dhaka Bike Show 2018

Suzuki Hayabusa at Dhaka Bike Show 2018

Sheikh Thamid Islam           March 29, 2018
For the people who have watched the movie DHOOM will remember that glorious SuzukiHayabusa which was ridden in the movie by John Abraham. For many that was the start for falling in love with bikes & Rancon Motorbikes Ltd took use close to that as they showcased Suzuki Hayabusha at Dhaka Bike Show 2018.


So let’s straight go into the bike, for everything the engine. The bike carries a 1340 cc ( yes nearly the same size of Toyota Corolla X Assista 2005). It has four cylinders, 16 valves, the engine is liquid cooled and yes fuel injected.
Engine & Gearbox – The engine produces 197 BHP (the most powerful legal bike in BD R15 V3 produces 19.1 BHP) & 138 NM of Torque. The bike is fitted with a 6 speed gearbox which is assisted by slipper clutch.
Performance – Top speed of the bike is limited to 299 km/h & on average the mileage of the bike is expected to be around 12-15 km/l.
Suspensions – Upfront there is a USD suspension with coil spring in the rear there is a oil damped compression & rebound damping. Both the front & rear suspensions can be adjusted according to the rider’s choice.

Brakes – Up front you will get 4 pot radium mount calipers disc brake one a while hydraulic brake is present on the rear of the bike.
Tyres – Most Suzuki Hayabusha uses Bridgestone Battlax tyres, with 120 sections up front & 190 sections in the rear, both with 17 inches alloy rims.
Weight & Capacity – The bike is huge in size, in some respect the bike is as wide as a CNG three wheeler. The bike weighs 250 kg (dry) & has a tummy which can load up to 21 litres of fuel.

Heritage: With wide spread fight with the Kawasaki Ninja ZX-12R in the early 2000 there were concerns that there will be a speed war developing in the world of two wheels. Many in the European Union feared that with increase speed there will be a concern over the safety of two wheels.
So both the European & Japanese manufacture came to a gentlemen’s agreement back in 2000 that that all super bikes will be limited to 300 km/h due to safety. It is set to believe that if not this limit then the bike would have crossed the 315 km/h barrier, compare to Suzuki MotoGP bike it would have been 25 km/h slower.

or SPEED, mostly it was designed to eat up the tarmac like a touring motorcycle. For the people who will be asking about the price of it! Well firstly you can’t have this in Bangladesh for reason we all know & secondly if you are rich & want to buy this then the nearest you can go from BD is in India where it cost you around 17 lakh BDT & if you want to import that here (given you get the permission) add 151% tax on that. In short with that price you can buy a 2017 Brand New Toyota Premio.

২০১৮ সালের টপ ক্রুজার মোটরসাইকেল বাংলাদেশ

Posted by: Sheikh Thamid Islam                    May 14, 2018 পুরো বিশ্বে  বাইক নিয়ে ঘোরাঘুরি ও ট্র্যাভেলিং এ যাওয়া আজকাল জনপ্র...